বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:২২ পূর্বাহ্ন
যশোর প্রতিনিধি, কালের খবর :
যশোরে শহর ও শহরতলীতে দুই ঘন্টার ব্যবধানে নাহিদ ও ইউনুস নামে ছুরিকাঘাতে দুইজন খুন হয়েছেন। যশোর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের বারান্দিপাড়ায় নাহিদ নামের যুবক সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন। অপরদিকে শহরতলী ঘুরুলিয়ায় ছোট ভাইয়ের হাতে ইউনুস নামে আরেকজন খুন হয়েছে।
অপরদিকে, নিহত নাহিদ শেখহাটি তরফ নোয়াপাড়াগ্রামের বাচ্চু মোল্লার ছেলে। নাহিদ ও তার বড় ভাই বোরহান একসাথে শহরের আরএনরোডের একটি দোকানে মোটর পার্টসের ব্যবসা করেন।
স্বজনেরা জানায়, শুক্রবার বিকেলে তার পূর্বপরিচিত বারান্দিনাথ পাড়ার বশিরের ছেলে হাসানের আমন্ত্রণে নাথপাড়া জামে মসজিদে ইফতার মাহফিলে অংশ নেন। তিনি নিজেই ইফতার সামগ্রি বন্টন করেন এবং ওই মসজিদেই ইফতার করেন। রাতে ওই মসজিদেই তারাবি নামাজ পড়তে যান হাসান ও নাহিদ। প্রথমে হাসান মসজিদে প্রবেশ করেন। পরে নাহিদ মসজিদে প্রবেশের সময় সামনে থাকা ৫/৬ জন কিশোর নাহিদকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে জরুরী বিভাগের ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপর খুনের বিষয়ে, তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই একরামুল হুদা বলেন, নিহত ইউনুস ও তার ছোট ভাই ইউসুফের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো । শুক্রবার দুপুরে ছোট ভাই ইউসুফ বড় ভাবীকে মারপিট করে। পরে বড়ভাই রাত পৌনে ৯টার দিকে বাড়িতে এসে প্রতিবাদ করে। এসময় উত্তেজিত হয়ে চাকু দিয়ে বড়ভাইকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় ইউসুফ। এতে ঘটনাস্থলেই বড় ভাই ইউনুস মারা যান। ছোট ভাই ইউসুফ গাড়ির বডি মিস্ত্রি। অন্যদিকে মৃত ইউনুস ছিলেন ভবঘুরে। তারা দুইজেনই মাদকসেবি হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
দুই খুনের ব্যাপারে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. সালাউদ্দীন বাবু বলেন, দুজনই হাসপাতালে আসার আগে মারা গেছেন। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, পুলিশের একাধিক টিম অপরাধীদের ধরতে মাঠে নেমেছে। ঘটনার পরপরই শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশের একাধিক টিম।